আমাদের সেবা নিশ্চিত করে যে, আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আপনার স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখবেন।
মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে ও আমাদের উপর বিশ্বাস রেখে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিন, যেখানে আমরা অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা আপনাদের স্বাস্থ্যসেবার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করি।
আমাদের অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ, মেডিকেল রিপোর্ট দেখে এবং শারীরিকভাবে এ্যাসাসমেন্ট ও ডায়াগনোসিস করে আপনাকে সর্বোত্তম ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রদান করেন।
“আমরা রোগীর তীব্র ব্যথা ও প্রদাহ কমানো, জয়েন্টের নড়াচড়া ও স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখা, পেশি শক্তি বৃদ্ধি, শরীরের ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা উন্নত করা এবং পুনরায় সমস্যা না হওয়ার জন্য বিশেষ ধরনের ইলেক্ট্রোথেরাপি, ব্যায়াম থেরাপি, ম্যানুয়াল থেরাপি ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করে থাকি।”
বিভিন্ন প্রকার প্যারালাইসিসে আক্রান্ত পাশ অবস, ভার ভার, ঝিম ঝিম বা সম্পূর্ণ দুর্বল হয়ে যায়। যার ফলে রোগীরা আর আগের মতো স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। আমরা ফিজিওথেরাপিস্টরা ফিজিওথেরাপির (পুনর্বাসন চিকিৎসার) মাধ্যমে তাদেরকে আবারও আগের মতো জীবন যাপনে ফিরিয়ে নিয়ে আসি ইনশাআল্লাহ।
“স্পেশাল চাইল্ড” বলতে সাধারণত এমন শিশুদের বোঝানো হয় যাদের শারীরিক, মানসিক, আচরণগত বা শেখার ক্ষেত্রে বিশেষ চাহিদা থাকে।
এদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে, যার জন্য বিশেষ যত্ন, শিক্ষা ও থেরাপির প্রয়োজন হয়।
স্পেশাল চাইল্ড-এর ধরন:
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা: যেমন সেরিব্রাল পালসি, মাংসপেশীর দুর্বলতা ইত্যাদি।
মানসিক/বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতা: যেমন ডাউন সিনড্রোম, ইন্টেলেকচুয়াল ডিজএবিলিটি।
অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার:
শেখার সমস্যা: Dyslexia, ADHD
শ্রবণ বা দৃষ্টিজনিত প্রতিবন্ধকতা:
যত্ন ও স্পেশাল চিকিৎসা:
ফিজিওথেরাপি: শারীরিক সক্ষমতা ও চলাফেরা উন্নত করার জন্য
অকুপেশনাল থেরাপি: দৈনন্দিন কাজের দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজন।
স্পিচ থেরাপি: কথা বলা ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে।
স্পেশাল এডুকেশন: শেখার জন্য উপযোগী পদ্ধতি।
আমাদের ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনার আদরের সন্তানের সমস্যা ডায়াগনোসিস করে সে অনুযায়ী সেবা দিয়ে প্রাণবন্ত স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসি।
বাংলায় একে বলা হয় কোমরের ডিস্ক সরে যাওয়া বা ডিস্ক প্রলাপ্স। এটি মূলত কোমরের হাড়ের মাঝের নরম কুশনের মতো ডিস্ক তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করলে হয়।
যেসব লক্ষণ দেখা যায়:
1. কোমরে তীব্র ব্যথা
2. এক বা দুই পায়ে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া (Sciatica)
3. পায়ে অবশ বা ঝিঁঝিঁ ধরা
4. হাঁটতে কষ্ট হওয়া
5. খুব গুরুতর হলে মল-মূত্র নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়।
ম্যাক্সিমাম রোগীই ফিজিওথেরাপি দিয়ে সুস্থ হয়ে যায়, যদি অপারেশনের তেমন sign না থাকে। এক্ষেত্রে আমাদের ফিজিওথেরাপিস্টরা প্রথমত সঠিকভাবে Diagnosis & assessment করে। তারপর রোগীর অবস্থাভেদে ফিজিওথেরাপি প্লান করেন। ফিজিওথেরাপির মধ্যে যেটা করা হয়- প্রথমত রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর দিকে ফোকাস করা হয়। এক্ষেত্রে কিছু ইলেকট্রোথেরাপি (Heat/cold modalities, Stimulations । রোগীর ব্যথা কমে গেলে তখন নার্ভের চাপ রিলিজ(মেক্যানিক্যালি কারেকশন) এর জন্য ম্যানুয়াল এক্সারসাইজ সহ অবস্থা বুঝে Pelvic Traction সহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
সার্ভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস হলো ঘাড়ের মেরুদণ্ডের (Cervical spine) হাড়, ডিস্ক ও জয়েন্টে বয়সজনিত ক্ষয় (degeneration) বা আঘাতজনিত পরিবর্তন। এটি মূলত ঘাড়ের হাড়ের চারপাশে অস্টিওফাইট (হাড়ের কাঁটা) গঠন, ডিস্ক প্রলাপস, ডিস্কের পানিশূন্যতা এবং জয়েন্টে ক্ষয় সৃষ্টি করে।
১.ঘাড়ে ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়া।
২.ব্যথা কাঁধ, বাহু বা আঙুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যাওয়া।
৩.হাতে ঝিঁঝিঁ ধরা বা অবশ হওয়া।
৪.মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা।
৫.গুরুতর অবস্থায় হাঁটার অসুবিধা বা মল-মূত্র নিয়ন্ত্রণে সমস্যা।
লক্ষ্য: ব্যথা কমানো, নড়াচড়া বাড়ানো, স্নায়ুর চাপ কমানো ও ঘাড়ের পেশি শক্তিশালী করা।
১. ব্যথা নিয়ন্ত্রণে:
-ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন:
-আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি – গভীর টিস্যু হিলিংয়ের জন্য
-ট্র্যাকশন – স্নায়ুর চাপ কমাতে
-হিট থেরাপি – পেশি শিথিল ও রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধির জন্য।
রোগীর অবস্থা অনুযায়ী আরও মডালাইটিস।
২.ম্যানুয়াল এক্সারসাইজ থেরাপি:
সফট টিস্যু ম্যাসাজ – পেশি রিল্যাক্স করার জন্য
৩.সেল্ফ এক্সারসাইজ থেরাপি
৪.পোশ্চার কারেকশন– সঠিক ভঙ্গিতে বসা/দাঁড়ানো অভ্যাস গঠন।
৫.এর্গোনোমিক পরামর্শ:
মোবাইল/কম্পিউটার চোখের সমতলে রাখা।
৬.দীর্ঘসময় এক ভঙ্গিতে না থাকা।
৭.সঠিক বালিশ ব্যবহার করা।
1. স্ট্রেইন (Strain) – পেশি বা টেন্ডনের অতিরিক্ত প্রসারিত বা ছিঁড়ে যাওয়া। যেমন: হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেইন।
2. স্প্রেইন (Sprain) – লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া বা টানা পড়া। যেমন: গোড়ালির স্প্রেইন।
3. ফ্র্যাকচার (Fracture) – হাড়ের ভাঙা বা ফাটল।
4. ডিসলোকেশন (Dislocation) – জয়েন্টের হাড় তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে যাওয়া।
5. কনটুশন (Contusion) – আঘাতের কারণে পেশিতে রক্তক্ষরণ বা ব্লিডিং।
6. টেনডনাইটিস (Tendonitis) – টেন্ডনের প্রদাহ যেমন। -অ্যাচিলিস টেনডনাইটিস।
7. হিট বা ঠাণ্ডা সংক্রান্ত সমস্যা – হিটস্ট্রোক, হাইপোথার্মিয়া ইত্যাদি।
8. রিপিটেড স্ট্রেস ইনজুরি (RSI) – একই ধরণের ব্যায়াম বারবার করার ফলে হওয়া চোট।
অতিরিক্ত বা অপ্রস্তুত ব্যায়াম ভুল কৌশল বা পোসিশন, সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব, শরীরের দুর্বলতা বা অপর্যাপ্ত ওয়ার্ম-আ।
যথাযথ ওয়ার্ম-আপ ও কুল-ডাউন, সঠিক জুতা ও সাপোর্ট ব্যবহার. পেশি ও লিগামেন্ট স্ট্রেচিং, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সঠিক খেলার কৌশল।
অপারেশনের পর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি রোগীকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে, ব্যথা কমায়, পেশি ও জয়েন্টের শক্তি ফিরিয়ে আনে এবং জটিলতা প্রতিরোধ করে।
অপারেশনের ধরণ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে প্রধান প্রধান অপারেশন পরবর্তী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ধরন দেওয়া হলো—
যেমন: ফ্র্যাকচার, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট (Hip/Knee), লিগামেন্ট রিপেয়ার ইত্যাদি
চিকিৎসা
যেমন: ব্রেইন টিউমার অপারেশন, স্পাইনাল সার্জারি ইত্যাদি
চিকিৎসা
যেমন: ওপেন হার্ট সার্জারি, বাইপাস সার্জারি
চিকিৎসা
যেমন: ফুসফুস অপারেশন, প্লুরাল সার্জারি
চিকিৎসা
যেমন: গলব্লাডার, কোলন বা হার্নিয়া অপারেশন
যেমন: সিজারিয়ান সেকশন, হিস্টেরেক্টমি
✅অপারেশনের ধরন ও রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে ফিজিওথেরাপির মূল লক্ষ্য হলো—
1. ব্যথা ও ফোলা কমানো
2. শ্বাসযন্ত্র ও রক্তসঞ্চালন ভালো রাখা
3. পেশি ও জয়েন্টের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনা
4. দৈনন্দিন কাজকর্মে ফিরে যেতে সাহায্য করা
আপনি আমাদের ফিজিওথেরাপি সেন্টারে এসে ফিজিওথেরাপি নিতে না পারেন সেক্ষেত্রে আমাদের ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনারা বাসায় গিয়ে ফিজিওথেরাপি প্রদান করবেন।
বি:দ্র: হাসপাতালে বা ক্লিনিকে ভর্তি রোগীকেও হাসপাতাল/ক্লিনিকে গিয়ে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়।
আমরা গর্বিত যে আমাদের ফিজিওথেরাপি সেবা অসংখ্য রোগীর মুখে হাসি ফিরিয়ে এনেছে।
নিচে কিছু রিয়েল-স্টাইল রিভিউ উদাহরণ দেওয়া হলো:
সাব্বির হোসেন
স্পোর্টস ইনজুরির পর হাঁটা-চলার কষ্ট হচ্ছিল। এখানকার চিকিৎসা ও গাইডলাইন আমাকে ধীরে ধীরে সুস্থ করে তুলেছে।
শারমিন আক্তার
আমার মায়ের ফ্রোজেন শোল্ডারের জন্য এখানে নিয়ে এসেছিলাম। মাত্র কয়েক সেশনে চোখে পড়ার মতো উন্নতি হয়েছে।
রাশেদুল ইসলাম
আমি অনেকদিন ধরে কোমরের ব্যথায় ভুগছিলাম। মাইদুল ভাইয়ের থেরাপি নেয়ার পর এখন অনেকটাই সুস্থ
রুবিনা সুলতানা
হোম থেরাপি সার্ভিস নিয়েছি। সময়মতো বাড়িতে এসে খুব যত্ন করে থেরাপি দিয়েছেন। এমন পেশাদার সার্ভিস সত্যিই প্রশংসনীয়।
আপনার সুস্থ জীবনের বিশ্বস্ত সঙ্গী পেইন রিসার্চ ফিজিওথেরাপি সেন্টার-এ আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও অভিজ্ঞ থেরাপিস্টদের নিবেদিত সেবার মাধ্যমে রোগীদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করি।
স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, স্পাইনাল সমস্যা, জয়েন্ট পেইন বা স্পোর্টস ইনজুরি সহ যেকোনো শারীরিক সমস্যায় দ্রুত পুনর্বাসনে কাজ করি।
আমাদের লক্ষ্য শুধু চিকিৎসা নয়, বরং আপনার জীবনে গতি,শক্তি ও আত্নবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা।
আপনার সুস্থতার যাত্রা শুরু হোক এখান থেকেই। আমাদের সেবা সম্পর্কে আরও জানতে বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে আজই যোগাযোগ করুন।
© 2025 পেইন রিসার্চ ফিজিওথেরাপি সেন্টার। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত।
01763-085494 / 01723-647389
meredul603@gmail.com
ধাপ, জেল রোড (পপুলার-২ সংলগ্ন বিজয় আবাসিক হোটেলের বিপরীতে), রংপুর।
© 2025 পেইন রিসার্চ ফিজিওথেরাপি সেন্টার। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত।