খেলাধুলায় আঘাতের (Sports Injury) ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

খেলাধুলায় আঘাতের (Sports Injury) ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

খেলাধুলায় আঘাত (Sports Injury) খুবই সাধারণ একটি বিষয়। যেমন – পেশি টান (muscle strain), লিগামেন্ট ইনজুরি (ligament sprain/tear), জয়েন্ট ডিসলোকেশন, মচকানো, ভাঙন,টেন্ডিনাইটিস, মেনিস্কাস ইনজুরি, শিন স্প্লিন্ট, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি ইত্যাদি। এসব আঘাতের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ফিজিওথেরাপির মূল লক্ষ্য

ব্যথা ও ফোলা কমানো।

দ্রুত সেরে ওঠা নিশ্চিত করা।

ভবিষ্যতে পুনরায় আঘাতের ঝুঁকি কমানো।

খেলোয়াড়কে আগের পারফরম্যান্সে ফিরিয়ে আনা।

আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি

1. অ্যাকিউট ফেজ (প্রথম ২৪-৭২ ঘণ্টা)

RICE পদ্ধতি (Rest, Ice, Compression, Elevation)

পেইন কন্ট্রোলের জন্য মডালিটি: আল্ট্রাসাউন্ড, আইস প্যাক, TENS।

জয়েন্ট ও পেশির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

2. সাব-অ্যাকিউট ফেজ (৩ দিন – ৩ সপ্তাহ)

হালকা রেঞ্জ অব মোশন (ROM) এক্সারসাইজ।

আইস ও হিট থেরাপি পর্যায়ক্রমে।

মাংসপেশি শক্তিশালী করার জন্য আইসোমেট্রিক এক্সারসাইজ।

3. রিহ্যাবিলিটেশন ফেজ (৩ সপ্তাহ – কয়েক মাস)

রেসিস্ট্যান্স ব্যায়াম (থেরাব্যান্ড, ওয়েট ট্রেনিং)।

ব্যালান্স ও প্রোপ্রিওসেপশন ট্রেনিং।

জয়েন্ট মবিলাইজেশন ও স্ট্রেচিং।

4. রিটার্ন টু স্পোর্ট ফেজ

স্পোর্টস-স্পেসিফিক ড্রিলস (যেমন দৌড়, জাম্প, কাটিং মুভমেন্ট)।

মাংসপেশি ও জয়েন্ট ফাংশন ১০০% রিকভার না হওয়া পর্যন্ত খেলা শুরু না করা।

ঠিক আছে 👍
এবার আমি আপনাকে খেলাধুলার আঘাতে ব্যবহৃত কিছু সাধারণ ফিজিওথেরাপি এক্সারসাইজ ব্যাখ্যা করবো সাথে ছবি ডেমো আইডিয়াও দিবো যেন রোগীরা বা খেলোয়াড়রা সহজে বুঝতে পারেন।

🏃 খেলাধুলার আঘাতে ফিজিওথেরাপি এক্সারসাইজ

১. হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ (Hamstring Stretch)

কাজ: পেছনের উরুর টান কমায়।

করণীয়: চেয়ারে বসে আক্রান্ত পা সামনে ছড়িয়ে রাখুন, কোমর সামান্য সামনে ঝুঁকান।

সময়সীমা: ২০–৩০ সেকেন্ড × ৩ বার।

২. কোয়াড্রিসেপস স্ট্রেচ (Quadriceps Stretch)

কাজ: উরুর সামনের পেশি নমনীয় করে।

করণীয়: দাঁড়িয়ে আক্রান্ত পায়ের পাতা পিছনে ভাঁজ করে হাতে ধরে রাখুন।

সময়সীমা: ২০–৩০ সেকেন্ড × ৩ বার।

৩. অ্যাঙ্কল পাম্প (Ankle Pump Exercise)

কাজ: গোড়ালি ইনজুরির পর রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

করণীয়: শুয়ে বা বসে আক্রান্ত পা সামনে সোজা রেখে গোড়ালি সামনে–পেছনে নাড়ান।

সময়সীমা: দিনে কয়েকবার, ১০–১৫ বার।
(ছবি: পা সোজা রেখে গোড়ালি ফ্লেক্স ও পয়েন্ট করছেন এমন ভঙ্গি)

৪. ব্যালান্স ট্রেনিং (Single Leg Balance)

কাজ: লিগামেন্ট ইনজুরির পর জয়েন্টের স্থিতিশীলতা ফেরায়।

করণীয়: এক পায়ে দাঁড়িয়ে ২০–৩০ সেকেন্ড ব্যালান্স করুন, ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

সময়সীমা: ৩–৫ সেট।

৫. থেরাব্যান্ড এক্সারসাইজ (Resistance Training)

কাজ: পেশি শক্তি বৃদ্ধি।

করণীয়: থেরাব্যান্ড দিয়ে হাত-পা টেনে রেসিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ করা।

সময়সীমা: ১০–১৫ বার × ২–৩ সেট।

⚠ সতর্কতা:

ব্যথা বেশি হলে এক্সারসাইজ বন্ধ করতে হবে।

সব ব্যায়াম ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শে করতে হবে।

প্রতিটি খেলাধুলার আঘাতে আলাদা চিকিৎসা দরকার হতে পারে।

আপনার সুস্থ জীবনের বিশ্বস্ত সঙ্গী পেইন রিসার্চ ফিজিওথেরাপি সেন্টার-এ আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও অভিজ্ঞ থেরাপিস্টদের নিবেদিত সেবার মাধ্যমে রোগীদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করি।
স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, স্পাইনাল সমস্যা, জয়েন্ট পেইন বা স্পোর্টস ইনজুরি সহ যেকোনো শারীরিক সমস্যায় দ্রুত পুনর্বাসনে কাজ করি।
আমাদের লক্ষ্য শুধু চিকিৎসা নয়, বরং আপনার জীবনে গতি,শক্তি ও আত্নবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা।
আপনার সুস্থতার যাত্রা শুরু হোক এখান থেকেই। আমাদের সেবা সম্পর্কে আরও জানতে বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে আজই যোগাযোগ করুন।

© 2025 পেইন রিসার্চ ফিজিওথেরাপি সেন্টার। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত।

সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুন

ফোন নম্বর

01763-085494 / 01723-647389

ইমেইল

meredul603@gmail.com

অবস্থান

ধাপ, জেল রোড (পপুলার-২ সংলগ্ন বিজয় আবাসিক হোটেলের বিপরীতে), রংপুর।

© 2025 পেইন রিসার্চ ফিজিওথেরাপি সেন্টার। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত।